আপনি কি Midterm Effect এ আক্রান্ত? জানুন Midterm Effect সম্পর্কে...

 


আপনার সাথে এমন কি কখনো হয়েছে? আপনি একটা কাজ অর্ধেক করার পর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। যে কাজটা আপনি অনেক আগ্রহের সাথে শুরু করেছিলেন সেই কাজটা অর্ধেক যাওয়ার পরই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে বাদ দিয়ে দিয়েছেন। আপনি যদি কখনো এমন পরিস্থিতির মধ্যে পরবেন তাহলে বুঝে নিবেন আপনি Midterm Effect এ আক্রান্ত। 



যদি এখনো না বুঝেন Midterm Effect কি, তাহলে আপনার সুবিধার জন্য আরোও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করছি। ইউনিভার্সিটির সেমিস্টার শুরুর আগে সবাই অনেক আগ্রহে থাকে যে এই সেমিস্টারে আমি অনেক ভালো করব, অনেক পড়ালেখা করব। প্রথম প্রথম সে তার ভাবনা অনুযায়ী কাজ করে কিন্তু কিছু সময় পর থেকে তার আগ্রহ কমতে থাকে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় তার সেমিস্টারের অর্ধেক আগ্রহ অনেক বেশি থাকলেও পরে তার অগ্রহ কমে যায় এবং বিরক্তি অনুভব করে। এটা Midterm effect। শুধু এটা নয় আমাদের জীবনে আমরা অনেকে বিভিন্ন যায়গায় Midterm Effect এর স্বীকারে পরিণত হয়। যেমন যে মানুষটার সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে যুক্ত হয়ে ভেবেছিলেন সারাজীবন সাথে থাকার কথা। কিছু সময় পর আপনি তার প্রতি বা সে আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। মূলত আপনি বা সে Midterm Effect এ আক্রান্ত হয়েছে। Midterm Effect এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিছু Side-Effect আছে। যেমন সে ব্যক্তি নিজের দোষ অনুভব করতে অক্ষম হয়ে যায় এবং অন্যকিছু বা অন্যদের দোষারোপ করতে থাকে। যেমন Midterm Effect এ আক্রান্ত ছাত্র তার শিক্ষক বা সিস্টেমকেই গালি দেয় বাদ দোষারোপ করে। আবার Midterm Effect এর কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি তার পার্টনারকে দোষারোপ করতে থাকে বিচ্ছেদ এর জন্য। এটা এক ধরনের সাইকোলজিক্যাল ডিসেন্স। এর মাধ্যমে ওই ব্যক্তির ব্রেইন নিজেকে ট্রমা থেকে দূরে রাখতে চায়

ছোট থেকে বড় যে কেউ যেকোনো সময় Midterm Effect এ আক্রান্ত হতে পারে। যেমন একটা বাচ্চার যে খেলনা একসময় অনেক বেশি প্রিয় ছিল একটা সময় পর সেই খেলনা নিয়ে আর পছন্দই করে না। 

Midterm Effect মানুষের জন্য ভালো নাকি খারাপ?

Midterm Effect কিছু কিছু সময় মানুষের উপকারে আসলেও অধিকাংশ সময় এ সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে আপনার জীবনে আসতে পরে ভয়াবহ খারাপ সময়।

Midterm Effect হলো একটা সাইকোলজিক্যাল রোগ যা মানুষের ব্রেনে থেকে জীবনযাত্রায় (LifeStyle) এ প্রভাব ফেলে। 

Midterm Effect কতটা ভয়াবহ হতে পারে?

Midterm Effect এর কারনে আপনার স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হ্তে পারে। অনেক মানুষিক রোগ আপনাকে ঘিরে বাসা বাধতে পারে। আপনাকে Anxiety এবং Depression এ ফেলতে পারে। আপনার আশেপাশের মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।

সবচেয়ে ভয়াবহ এই যে, Midterm Effect এর কারণে মানুষ আত্মহত্যার দিকে অগ্রসর হয়। বিশ্বের বেশিরভাগ আত্মহত্যার সম্পর্কে গবেষণা করলে দেখতে পাবেন এর জন্য Midterm Effect দায়ী। 

  

কিভাবে বুঝবেন আপনি বা আপনার কোনো আপনজন Midterm Effect এ আক্রান্ত কিনা?

গবেষণা করলে দেখা যাবে কখনো কখনো জীবন চক্রে একবার হলেও সব মানুষ Midterm Effect সম্মুখীন হয়েছে। তবে Midterm Effect সম্মুখীন হওয়া এবং আক্রান্ত হওয়া দুইটা আলাদা। কেউ যদি বার বার বিভিন্ন কাজে অথবা জীবনের বড় বড় সিদ্ধান্তে Midterm Effect সম্মুখীন হয় তবে সে Midterm Effect এ আক্রান্ত ধরা যায়।

বিষয়টা এমন মনে করেন, আপনি চাকরিতে মাঝে মাঝে ছুটি নেন। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যদি আপনি কিছুদিন পর পরই ছুটি নেন। তাহলে তা অস্বাভাবিক তাইনা? আবার মনে করে, আপনি বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময়ই ছুটি নেন। তাহলে তো এটা মারাত্মক তাইনা? এজন্য তো আপনার বস আপনাকে চাকুরিচ্যুতও করতে পারে।

এখন ছুটির যায়গায় Midterm Effect কে কল্পনা করুন। মাঝে মাঝে হলে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বার বার হলে বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সময় হলে তা অস্বাভাবিক এবং মারাত্মক। যদি এমন হয় তাহলে সে Midterm Effect এ আক্রান্ত। 

লক্ষণঃ

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে দেওয়া,

যেকোনো কাজ অল্প করে বা অর্ধেক করে ছেঁড়ে দেওয়া। এবং একই রকম বার বার করা।

অন্যের দোষ ধরায় ব্যস্ত এবং নিজের দোষ অস্বীকার করা,

গুরুত্বপূর্ণ কাজে সময় না দিয়ে অন্য কাজে বেশি সময় দেওয়া।

গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রাখা বা গুরুত্বপূর্ণ মনে না করা।

Anxiety অথবা depression অনুভব করা।

অধিক ঘুম এবং ঘারে ব্যথা অনুভব করা অন্য কোনো শারিরীক অসুস্থ ব্যতীত।

 

আরো কোনো শারীরিক বা মানসিক লক্ষণ প্রকাশ পায় কিনা তা পরবর্তীতে গবেষণার মাধ্যমে জানা যেতে পারে।

  




প্রতিকার ও প্রতিরোধঃ

আপনি জীবনের যেকোনো সময় যেকোনো কারণে Midterm Effect এর সম্মুখীন হতেই পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেনো আপনি Midterm Effect এ আক্রান্ত না হন। Midterm Effect এর সাথে লড়াই করার সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলে এ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা। যেহুতু এতা শারীরিক কোনো অসুস্থতা নয় তাই এটা ওষুধ এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব নয়। এজন্য আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। আপনি যদি সুস্থ থাকেন আপনার উচিত Midterm effect যদি আপনি সম্মুখীন হন তাহলে কি কি করে এর থেকে বের হবেন এর পরিকল্পনা করে রাখা। যদি বুঝতে পারেন আপনি Midterm Effect  এ আক্রান্ত তাহলে নিজেকে পুশ করবেন সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার হতাশ না হয়ে এবং নিজেকে শক্ত করবেন যেনো শেষ পর্যন্ত যেতে পারেন। আর মনে রাখবেন আপনি দুর্বল নন এবং দোষ অন্যকারো নয়। বরং আপনি Midterm Effect  এ আক্রান্ত এবং আপনাকে এর থেকে বাড়াতে হবে। যে কাজ করছেন সে কাজে ভালো লাগা বাড়াতে হবে।

আপনার পাশে কেউ Midterm Effect এ আক্রান্ত বুঝতে পারলে তাকে সহযোগিতা করুন এগিয়ে যেতে। হয়ত কোনো একসময় সে আপনাকে সাহায্য করবে এই Effect থেকে বাচতে।

 

-        Midterm Effect সম্পর্কে জ্ঞান রাখুন।

-        নিজেকে প্রস্তুত রাখুন এবং এগিয়ে যান।

-        বেশি পানি পান করে নিজেকে হাইড্রেটেট রাখুন।

-        কাজের মধ্যে ভালোলাগা খুজুন। দরকার হলে হাস্যকর কিছু বা যা আপনার মনকে শান্ত করে এমন কিছু খুজুন।

-        অযথা অন্যদের দোষারোপ করা বাদ দিন।

-        সম্পর্কে হলে সম্পর্কে সময়দিন। ভালোলাগা মুহূর্ত খুঁজুন। খারাপ সময়গুলো মনে পড়লে তা এরিয়ে চলুন।

-        নিজেকে খুব বেশি ব্যস্ত বা ক্লান্ত করবেন নাহ।

 

            "জীবনে ভালো থাকার জন্য Midterm Effect কে ছাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।"

 
 নিজে সমস্যার সমাধান করতে না পারলে কাউন্সিলিং করান বা ভালো মানসিক চিকিৎসক দেখান। মানসিক চিকিৎসক দেখালেই অনেকে ভাবে পাগল এর ডাক্তার বা রোগী পাগল এমন ধারণা বাদ দিন। মানুষ সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনের জন্যই চিকিৎসক দেখায়।  

 
 

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ